"২০ লাখ টাকা ছিনতাই: পুলিশ কনস্টেবলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৭ মে"
আদালতের নিকট দুই পুলিশ কনস্টেবল ও তাদের তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুনের ২০ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনার চিত্র আকার গড়ে উঠেছে। তারা আবদুল্লাহ আল মামুনকে ধরে গ্রেফতার করে পুলিশ মামলা হিসাবে অভিযুক্ত করেছে। মামলা বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে অবসান হয়নি।
ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুনের এক কর্মচারী অনুমোদন ছাড়াই ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে ব্যাগে ২০ লাখ টাকা নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় জমা দিতে গিয়ে ধরে পড়েন ছিনতাইকারীদের। সেখানে দুই পুলিশ সদস্যের ওয়ারেন্ট আছে বলে অবহিত হওয়া পর তারা ব্যাংকের বাইরে এনে ব্যাগটি নিয়ে নেন এবং তাকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দেন। তবে ব্যবসায়ী মামুন ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারী হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্য মাহবুব ও আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।
পরে বাসাবো থেকে শাহজাহান ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেলের বাসা থেকে বাকি ১০ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর ডেমরা পুলিশ লাইনসের দুই কনস্টেবল মাহাবুব আলী ও আছিফ ইকবাল এবং তাদের তিন সহযোগী শাহাজান, হৃদয় ও রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই সুমিত কুমার সাহা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
No comments