ফেনী সরকারি কলেজে ইফতার পার্টিতে হামলা: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ফেনী সরকারি কলেজে ইফতার পার্টিতে হামলা: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ফেনী সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত গণ ইফতার কর্মসূচি হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়ার অভিযোগে প্রকাশ পাচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ইফতারের আগমনে কলেজ ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সবাইকে হামলা করে ছাত্রদের আটক করে মারধর করেছেন, যার ফলে কয়েকজন আহত হয়েছেন। অভিযোগটি উত্থান পাচ্ছে আবদুল মোহাইমিন আজিম নামের একজন ছাত্রের কাছ থেকে।
সূত্র অনুযায়ী, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির ওপর ‘বিধিনিষেধ’ আরোপের প্রতিবাদে সোমবার ফেনী কলেজে আঙ্গিনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আজিম অভিযোগ করেছেন যে, ইফতারে অংশ নেওয়ার জন্য তাঁকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়েছেন এবং তাঁকে প্রায় আধা ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে। এরপর তিনি ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যান্য আহত ব্যক্তিদের ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী আলী আহাম্মদ ফোরকান বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের বাধায় ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। তাদের হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
মারধরের শিকার আবদুল মোহাইমিন আজিম জানান, ইফতারে অংশ নিতে এলে তাদের ব্যাট-স্ট্যাম্প্যাড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে তাকে আটকে রাখার আধাঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়া হয়।
ঘটনাটি সোমবার কলেজের ক্যাম্পাসে ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন- ফেনী কলেজের বিবিএ শিক্ষার্থী আলী আহাম্মদ ফোরকান, বিএসসির সাইফুল ইসলাম ও এমরান হোসেন এবং গণিত বিভাগের আবদুল মোহাইমিন আজিম।
তবে, ছাত্রলীগের জেলা শাখার সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও কলেজ শাখার সভাপতি নোমান হাবিব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের মতে, ইফতার পার্টি কর্মসূচি সম্পর্কে অব্যাহত ছিল, এবং হামলা হয়নি। তাঁরা জানান, ছাত্রশিবিরের কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ইফতার পার্টি আয়োজন করেছিলেন, কিন্তু বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তাদেরকে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোক্তার হোসেন বলেন, "ইফতার পার্টির জন্য কেউ আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। তবে ইফতার পার্টিতে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি।"
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শিবির নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন বলে জানেছি। ঝামেলার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
No comments