ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপি

ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপি

 বিএনপি এবং তাদের সহযোগিতা প্রদান করা ৬৩টি দলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের সমর্থক হিসেবে। এই আন্দোলনে বিএনপি প্রধানতম পক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তারা বিশেষভাবে বলেছেন যে তারা এটা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, তবে মানুষের মনোভাবকে ধারণ করে রাজনীতি এগিয়ে নিতে চান। এছাড়াও, বিএনপি দাবি করেছে যে এই আন্দোলনে সরকারবিরোধী জনগণের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।

বিএনপি জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ভারতীয় পণ্য বর্জন করার ঘোষণা দেয়েছে। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গড়ে ওঠা আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি সহ অন্যান্য ৬৩টি দল ও জনগণের সমর্থন প্রকাশ করেছে। বিএনপি নেতারা বলেছেন যে এই প্রকার পদক্ষেপ তাদের জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি উপায়।

বিএনপি নেতারা বিশেষভাবে আওয়ামী লীগের পাশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের টিশার্ট হাতে তুলে এই ঘোষণা দেওয়ার মধ্যে দেশের জনগণের আগ্রহ ও সমর্থন প্রকাশ করেছে।

ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের প্রসঙ্গে বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক দেশ রূপান্তরকে বলেন যে, এটি তাদের কর্মসূচি নয়, এটি জনগণের কর্মসূচি। এ প্রসঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন এবং বলেন যে সেই দলের মন্ত্রীরা বিশ্বাস করছেন ভারতের সহযোগিতা প্রদানে।

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বিএনপির কর্মীবিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দলটি জোরেশোরে ভারতবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে, এটা নিশ্চিতভাবে ভারতের সামর্থ্য এবং প্রভাবকে চিহ্নিত করে। বিএনপির এ পদক্ষেপ ভারতের উপর একটি সতর্কতা সংকেত দেয়, যা কার্যকর রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচক হতে পারে।

পূর্বে বিএনপি নির্বাচন প্রচারের সময় ভারতের সাথে সম্পর্কে সতর্কতা অনুমেদন করেছিল, যা অনুমেদনযোগ্য ছিল তাদের রাজনৈতিক সুপারিশ। এখন, নির্বাচনের পর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিএনপি ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রতিক্রিয়া দেয়ার মাধ্যমে নতুন পরিবর্তনের সাধারণ মানসিকতা উত্তেজিত করেছে।

এই অবস্থার কারণে, বিএনপির পক্ষ থেকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দলটি আশা করছে যে তারা ভারতের সাথে প্রাণবন্ধন স্থাপন করতে পারে, যা আসলে তাদের রাজনৈতিক পথে উত্তরাধিকার দিতে সাহায্য করতে পারে। এটি যে ভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সংযোগিত হতে পারে তা দেখায়।

এক্ষেত্রে, বিএনপি এ পদক্ষেপ দ্বারা নির্বাচনের পরে ভারতের সাথে সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া এবং সাক্ষাৎকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে প্রকাশ্যে যোগাযোগ করেছে, যা একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক সংকেত হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.