দৈনিক বার্তা বিশ্বময়

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়া আরেকটা ফাঁদ: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মন্তব্যগুলি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি এবং বর্তমান সরকারের সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে কথা বলছে। তারা নিজেদের স্থানীয় প্রতীক না দেয়ার সিদ্ধান্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না, তবে বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বিশ্বাস করছেন যে, ঐ নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই।

মির্জা আব্বাস একেবারেই খাতিরে প্রকাশ করেন তাঁর দলের স্থানীয় নেতৃত্বের পক্ষ বিপক্ষের কোনো সরাসরি সমর্থন প্রদানে নিতে। তারা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে বিএনপির সহায়তা প্রকাশ করেছেন বরং। এই মন্তব্যগুলি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবির সাথে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি ধারাবাহিক স্ট্রেটেজি হিসেবে মনে করা যেতে পারে। তারা বিএনপির নেতাদের মুক্তির দাবির বাইরে জনগণের ভবিষ্যত উন্নতির জন্য আশা প্রকাশ করেন।

আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীনতা, নির্বাচন প্রস্তুতির দিকে মির্জা আব্বাসের মন্তব্য মোতাবেক একটি প্রতিক্রিয়া হিসেবে মনে হতে পারে। তারা নির্বাচন প্রস্তুতি না করে জনগণের ভোটের অধিকার বাতিল করার চেষ্টা করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তারা আইনের পরিচালনায় নির্ভর না করে সরকারী ক্ষমতার কাছে বিপক্ষের অভিযোগ তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন।

মির্জা আব্বাসের মন্তব্য মোতাবেক, বর্তমান সরকারের করুণ অবস্থা এবং তার প্রতিরোধের প্রস্তুতি না করে দেশের প্রশাসনিক ও আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য তারা নির্ভরশীল নয়। তাদের মনে আছে, কোনো প্রতিরোধ ও আন্দোলনের অভাবে সরকারকে বিপক্ষের দাবির সঙ্গে সম্পর্ক উঠে না এবং সরকার সত্তার অধীনে নিজেদের প্রতিরোধের প্রকাশ করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত নয়। তারা বিএনপির নেতাদের মুক্তির দাবির প্রতি প্রতিরোধের জন্য এবং দেশের অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলনের পথে প্রস্তুতি নিতে অবশ্যই মন্তব্য করেছেন।

এই মন্তব্যগুলি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবির সাথে সম্পর্কিত একটি প্রতিক্রিয়ার সাথে জড়িত হিসেবে মনে হতে পারে। তাদের মনে আছে, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান এবং অন্যান্য বিএনপি নেতারা দেশের সমস্যার সমাধানে আন্দোলনের পথে প্রস্তুতি নেয়েছেন। তারা বিপক্ষের প্রতিরোধের জন্য তৈরি থাকবে এবং দেশের অন্যান্য সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিবাদ ও আন্দোলনের পথে মনোনিবেশ করে থাকবেন।