রমজানের আগমনে ইফতারি পণ্যের দামে বৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে পড়ে সাধারণ ক্রেতা

 রমজানের আগমনে ইফতারি পণ্যের দামে বৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে পড়ে সাধারণ ক্রেতা

রমজানের আগমনের সময়ে ইফতারি পণ্যের দামে বৃদ্ধি এবং অস্বস্তিতে পড়া সাধারণ ক্রেতাদের কষ্টকর অবস্থা বিষয়টি বিশেষভাবে গুজব ও চিন্তা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। রোজার পণ্যের দাম বাড়ানোর পেছনে অনেকে ধারাবাহিকভাবে ক্রমশঃ সরকার, কোম্পানি এবং ব্যবসায়ীদের অব্যাহত লোভ পরিচালনা করছেন। প্রতি বছরই এই প্রবৃদ্ধির সাথে এই বিতর্কিত সম্পর্ক দেখা যায়। এ সাথে রমজানের আসন্ন সুযোগগুলি সে ব্যবসায়ীদের কাছে একটি আর্থিক অনুমোদনের হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা প্রধানত দোকানদারদের প্রতি অসুবিধা তৈরি করে।

এ অস্থিরতা স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে রাজধানীর খুচরা বাজারে ইফতারি পণ্য ছোলা, চিনি, খেজুর, বেগুন, শসা ও লেবুর দাম প্রায় ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পণ্যগুলির দামের বৃদ্ধি ক্রেতাদের ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক দায়িত্ব বা অর্থনৈতিক অব্যাহত লোভের কারণে অতি ব্যাপকভাবে সম্পর্কিত। এই প্রস্তুতির কারণে রমজানের মাসে এই ক্ষেত্রে অনেকে ধরনের অসুবিধা অনুভব করে থাকছেন।

এই অবস্থা সামাজিকভাবে দুঃখজনক এবং সমাজতান্ত্রিক ভাবে মারাত্মক। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছরই রমজানকে ঘিরে বাড়তি মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা ইফতারি পণ্যকে টার্গেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও তাই হচ্ছে। রোজায় ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সরকারকে বাজার তদারকিতে আরো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

এ প্রস্তুতিতে সরকারও তার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে, যার মধ্যে শুল্কের স্থিতিশীলতা, এবং দামের নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা অন্তত আংশিকভাবে সফলতা অর্জন করেছে। এটির পাশাপাশি অনেক নিত্যপণ্যের দামে বৃদ্ধি স্থিতিশীল করার প্রয়াস করেছে সরকার। চাল, চিনি, সয়াবিন তেল ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে।

এই অস্থিরতার মাধ্যমে দুর্বল অর্থনৈতিক সাহায্যকে অনেকটা হাস্যকর করা যাচ্ছে। রমজানের সময় দুর্বলদের কষ্টকারক অবস্থা সমাজের উচ্চ সচেতনতা এবং সাহায্য প্রদানের দিকে পরিচালিত হতে হবে। অবশ্য, এ ধরনের অস্থিরতা ও প্রবৃদ্ধি অনেকটা নির্দেশ করে যে সমাজের ব্যাপারে একটি আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.