ক্ষমতায় এলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি বিএনপির

উপ-শিরোনাম: শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সরকার গঠন করলে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় এলে দেশের সকল এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যা দেশের শিক্ষা খাতে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আয়োজিত বিভিন্ন বৈঠক এবং রাজনৈতিক সমাবেশে বিএনপি নেতারা এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে তারা রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, "শিক্ষকরা হলেন জাতি গড়ার কারিগর। তাদের বঞ্চিত রেখে একটি শিক্ষিত ও উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়। বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে গেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।"

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও শিক্ষকদের উদ্দেশে এক ভার্চুয়াল ভাষণে জানিয়েছেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে রাষ্ট্রের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনা করে একটি "উচ্চপর্যায়ের কমিশন" গঠন করা হবে। এই কমিশন শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং জাতীয়করণের মতো বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করবে।

বিএনপির প্রতিশ্রুতির মূল বিষয়গুলো:

পূর্ণাঙ্গ জাতীয়করণ: দেশের সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি সরকারি কোষাগার থেকে প্রদানের মাধ্যমে জাতীয়করণ করা হবে।

শিক্ষা সংস্কার কমিশন: জাতীয়করণের পাশাপাশি একটি "শিক্ষা সংস্কার কমিশন" গঠন করে শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে, যেখানে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

মর্যাদা প্রতিষ্ঠা: শিক্ষকদের সামাজিক ও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.