সোমালিয়ায় অপহৃত দাগনভূঞার বিপ্লবকে ফিরে পেতে চায় পরিবার

সোমালিয়ায় অপহৃত দাগনভূঞার সন্তান বিপ্লবকে ফিরে পেতে চায় পরিবার
  •  ।
  • সোমালিয়ায় বাংলাদেশি জাহাজ অপহরণের ঘটনায়  জাহাজে থাকা ২৩বাংলাদেশীর মধ্যে একজন দাগনভূঞার বাসিন্দা।  তার নাম  ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ বিপ্লব। তিনি ঐ  জাহাজে ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত আছেন।


    তাকে ফিরে ফেতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞার ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের আবুল হোসাইনের ছেলে।

     বিপ্লবের পিতা জানান, জিম্মি করে নেয়ার সময় বিপ্লব ফোন দিয়েছিল। সে বলছে আর দেখা নাও হতে পারে,  আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা। বিপ্লবের দুই সন্তানের জন্য হলেও আল্লাহ যেন তাকে জীবিত উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন এমন আকুতি পরিবারের।

    এর আগে মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যায়। পণ্যবাহী জাহাজটির  মালিক কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।

    মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ।পরিবারের এই কথাগুলি সোমালিয়ায় অপহৃত ফেনীর বিপ্লব এবং তার পরিবারের সঙ্গে জড়িত স্থিতিশীল। একটি বাংলাদেশি জাহাজ, যাতে ২৩ বাংলাদেশীর মধ্যে একজন ফেনীর স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন, সোমালিয়ায় অপহরণের ঘটনায় জড়িত হয়েছে। বাংলাদেশের সরকারের হস্তক্ষেপ চাইতেও পরিবার উত্সাহিত এবং আশা রাখছে তাদের সদস্যদের ফিরে পেতে। বিপ্লবের পিতা বলেছেন যে, তারা বিপ্লবকে যদি ফেরাতে পারেন তাহলে তাদের পরিবারের উদ্ধার হতে পারবে। এই পরিবারের জন্য এই অধিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও, তাদের আশা যেন অল্লাহ তাদের সদস্যকে জীবিত ফিরে পেতে সাহায্য করেন।

    জাহাজের মালিক কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়াও এই ঘটনা বাংলাদেশের অন্যান্য শিল্পগোষ্ঠীও চিন্তিত এবং বিবেচনা করছে। জাহাজের নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ সামান্য নয়, যেটি বাংলাদেশের সরকারের মন্তব্য সাথে সাংঘর্ষিক এবং সৃজনশীল হতে পারে। বাংলাদেশের সরকার এই ঘটনার প্রতি দৃষ্টিশক্তি প্রদর্শন করে এবং ফেনীর বিপ্লব ও অন্যান্য প্রত্যাশাবাদীদের ফিরে পেতে নিশ্চিত হতে চাইবেন।

    No comments

    Powered by Blogger.